বায়ুমণ্ডলের স্তর বিন্যাস

বায়ুমণ্ডলের স্তর বিন্যাস

ট্রোপোস্ফিয়ার  : 

পৃথিবীর ঠিক উপরিতল হতে প্রায় ১৮ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত এই স্তর বিস্তৃত। যত উঁচুতে ওঠা যায়, এই স্তরের বায়ুর তাপমাত্রা ততই হ্রাস পায় (প্রতি হাজার কিমি.তে ৬.৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। স্তরেই ঝড়-ঝঞ্ঝা, মেঘ প্রভৃতি দুর্যোগ সৃষ্টি হয়।

 ট্রোপোপজ :

ট্রপোস্ফিয়ার ও স্ট্যাটোস্ফিয়ারের সীমানা নির্ধারক স্তর। 

স্ট্রাটোস্ফিয়ার : পৃথিবীর উপরিভাগ হতে ১৮ কিমি. উচ্চতার পর থেকে প্রায় ৫০ কিমি. উচ্চতা পর্যন্ত এই স্তরের বিস্তার। এই স্তরের বায়ুর উস্নতা ক্রমশঃ বাড়তে থাকে। এই স্তরে বায়ুতে কোনো জলীয় বাষ্প থাকে না। একে শান্তমণ্ডল বলে। এই স্তরের মধ্যে ওজনস্তর অবস্থান করে ।

  স্ট্যাটোপজ : স্ট্যাটোস্ফিয়ার এবং মেসোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী সীমানা নির্ধারক স্তর। 

মেসোস্ফিয়ার : ভূ-পৃষ্ঠের উপরিতলের ৫০ কিমি.-র পর থেকে ৮০ কিমি. পর্যন্ত এই স্তর অবস্থান করে। এই স্তরে পুণরায় তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং সর্বোচ্চ অংশে তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রীতে পৌঁছায়। মোসোপঞ্জ মেসোস্ফিয়ার এবং আয়নোস্ফিয়ারে মধ্যবর্তী সীমানা নির্ধারক স্তর।

  আয়নোস্ফিয়ার :  এই মেসোপজের ওপর থেকে ৫০০ কিমি. পর্যন্ত বিস্তৃত। এই স্তরের মধ্যে আয়নীভূত গ্যাস রয়েছে, এই গ্যাস উল্কাপাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এই স্তর বেতার সংযোগে সাহায্য করে। এই স্তর থেকেই মেরুজ্যোতির সৃষ্টি হয়। 

থার্মোস্ফিয়ার : আয়নোস্ফিয়ারের মধ্যবর্তী স্তরকে আমরা থার্মোস্ফিয়ার বলে থাকি। এই স্তরে বায়ুর উয়তা ১২০০° সেন্টিগ্রেড। 

এক্সোস্ফিয়ার:  থার্মোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ৭৫০ কিমি. পর্যন্ত এই স্তর বিস্তৃত। এই স্তরে হিলিয়াম ও হাইড্রোজেন গ্যাসের প্রাধান্য দেখা যায়। এই স্তরেও উয়তা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায়।

 ম্যাগনেটোস্ফিয়ার : এক্সোস্ফিয়ারের ওপর থেকে বায়ুমণ্ডলের শেষ সীমা পর্যন্ত অর্থাৎ ১০ হাজার কিমি. পর্যন্ত এই স্তর বিস্তৃত।

নবীনতর পূর্বতন