ধ্বনি| স্বরধ্বনি ও ব্যঞ্জনধ্বনি
স্বরধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু মুখবিবরে কোন রকম বাধা পায় না, তাকে স্বরধ্বনি বলে।
আবার,যে ধ্বনি অন্য ধ্বনির সাহায্যে ব্যতিরেকে স্বয়ং পূর্ণ ও পরিস্ফুট ভাবে উচ্চারিত হয় এবং যাকে আশ্রয় করে অন্য ধ্বনি প্রকাশিত হয়,তাকে স্বরধ্বনি বলে। যেমন-অ,আ,ই,উ,এ,ও,অ্যা ।
স্বরধ্বনি দুই প্রকার—মৌলিক স্বরধ্বনি ও যৌগিক স্বরধ্বনি
• যে স্বরধ্বনি গুলি কে বিভাজন করা যায় না সেগুলি মৌলিক স্বরধ্বনি। যেমন-অ,আ,ই,উ,এ,ও,অ্যা ।(মোট ৭টি)
• যে স্বরধ্বনি গুলিকে বিভাজন করা যায় বা বিশ্লেষণ করা যায়, সেগুলি যৌগিক স্বরধ্বনি। যেমন- ঐ=ও+ই, ঔ=ও+উ ।
• যে স্বরধ্বনি গুলি উচ্চারণ করতে অপেক্ষাকৃত বেশি সময় লাগে সেগুলি দীর্ঘ স্বরধ্বনি। যেমন-আ,ঈ,ঊ।
• যে স্বরধ্বনি গুলি উচ্চারণ করতে অপেক্ষাকৃত কম সময় লাগে সেগুলিকে হ্রস্ব স্বরধ্বনি বলে। যেমন-অ,ই,উ।
• উচ্চারণের বৈচিত্র অনুসারে স্বরধ্বনির বিভাগ –(ক) জিহ্বার অবস্থান (খ) ওষ্ঠের আকৃতি (গ) মুখবিবরের শূন্যতার পরিমাপ ।
(ক) জিহ্বার অবস্থান:
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার সামনের দিকে এগিয়ে আসে সেই স্বরধ্বনিকে সম্মুখ স্বরধ্বনি বলে। যেমন-ই,এ,অ্যা।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা পিছনের দিকে গুটিয়ে যায় তাকে পশ্চাৎ স্বরধ্বনি বলে। যেমন-অ,উ,ও।
সম্মুখ স্বর ও পশ্চাৎ স্বরের মাঝামাঝি অবস্থানে জিহ্বা রেখে যে স্বরধ্বনির উচ্চারণ করা হয়, তাকে কেন্দ্রীয় স্বরধ্বনি বলে। যেমন-আ ।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বার স্বরধ্বনির এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকে তাকে উচ্চ স্বরধ্বনি বলে। যেমন-ই,উ।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা একদম নিচে নামিয়ে উচ্চারণ করা হলে সেটা নিম্ন স্বরধ্বনি। যেমন-আ।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা উচ্চ-মধ্য অবস্থানে থাকে সেগুলি উচ্চ-মধ্য স্বরধ্বনি বলে ।যেমন-এ,ও।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা নিম্ন মধ্য অবস্থানে থাকে সেগুলি নিম্নমধ্য স্বরধ্বনি। যেমন-অ্যা,অ।
(খ) ওষ্ঠের আকৃতি :
ওষ্ঠকে দুদিকে প্রসারিত করে আমরা যে স্বরধ্বনির উচ্চারণ করি তাকে প্রসারিত স্বরধ্বনি বলে। যেমন- ই,এ,অ্যা ।
ওষ্ঠকে প্রসারিত না করে কুঞ্চিত আকারে যে স্বরধ্বনির উচ্চারণ করি তাকে কুঞ্চিত স্বরধ্বনি বলে। যেমন-উ,ও,অ।
কোন কোন স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় ওষ্ঠ প্রসারিত হয় না, কুঞ্চিত হয় না স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে, সেই স্বরধ্বনিকে স্বাভাবিক বা মধ্যস্থ স্বরধ্বনি বলে। যেমন-আ।
(গ) মুখবিবরের শূন্যতার পরিমাপ :
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় জিভ স্বরধ্বনির এলাকার মধ্যে সর্বোচ্চ স্থানে থাকে এবং জিভ ও নিচের চোয়াল যতদূর সম্ভব মুখের ছাদের দিকে এগিয়ে থাকায় মুখের ভিতরের শূন্যস্থান প্রায় ভরে থাকে, তাকে সংবৃত স্বরধ্বনি। যেমন-ই,উ।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখবিবরের আয়তন একটু কম সংবৃত থাকে সেগুলি অর্ধ সংবৃত স্বরধ্বনি। যেমন-এ,ও।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের আয়তন অপেক্ষাকৃত বেশি থাকে তাকে বিবৃত স্বরধ্বনি বলে। যেমন-আ।
যে স্বরধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখগহ্বরের আয়তন বিবৃত অপেক্ষা কম থাকে সেগুলি অর্ধ বিবৃত স্বরধ্বনি। যেমন-অ,অ্যা।
২
ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু মুখবিবরের কোথাও বাধা পায় তাকে বলে ব্যঞ্জনধ্বনি। আবার, যে ধ্বনি স্বরধ্বনির সাহায্য ব্যতীত স্পষ্টরূপে উচ্চারিত হতে পারে না, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন- ক,খ,গ ইত্যাদি।
ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণীবিভাগ : ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ু যেখানে বাধা পায়, সেই বাধার স্থান অনুসারে এবং যেভাবে ধ্বনিটি উচ্চারিত হয় সেই প্রকৃতি অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণীবিভাগ করা হয়। যেমন- (ক) উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জন ধ্বনির শ্রেণীবিভাগ (খ) উচ্চারণের প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যঞ্জনধ্বনির শ্রেণীবিভাগ।
(ক) উচ্চারণ স্থান অনুযায়ী ব্যঞ্জন ধ্বনির শ্রেণীবিভাগ : উচ্চারণ স্থান অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনি কে বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যায়। সেগুলি হল–কন্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি, তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি, মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনি, দন্ত ব্যঞ্জনধ্বনি, দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি, ওষ্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি ইত্যাদি।
কন্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ করার সময় জিহ্বার পিছনের অংশ নরম বা কোমল তালু স্পর্শ করে শ্বাসবায়ুতে আংশিক বাধা দেয় সেই ব্যঞ্জনধ্বনিগুলোকে কণ্ঠধ্বনি স্নিগ্ধতালব্য । যেমন–ক,খ,গ,ঘ,ঙ। বাংলা বর্ণমালার ‘ক’বর্গের ধ্বনিগুলি কন্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি।
তালব্য ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জনধ্বনি গুলি উচ্চারণের সময় জিহ্বা কঠিন বা শক্ত তালুকে স্পর্শ করে শ্বাস বায়ুকে আংশিকভাবে বাধা দেয় সেই ধ্বনিগুলি তালব্য ধ্বনি। যেমন–চ,ছ,জ,ঝ,শ,য়।
মূর্ধন্য ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ধ্বনি উচ্চারণের সময় জিহ্বা সম্মুখ অংশ কঠিন বা শক্ত তালুতে স্পর্শ করে সাজবে কে বাধা দিলে তাকে মূর্ধন্য ধ্বনি বা প্রতিবেষ্টিত ধ্বনি বলে। যেমন-ট,ঠ,ড,ঢ,ণ,ড়,ঢ়।
দন্ত ব্যঞ্জনধ্বনি: জিহ্বাশিখর বা জিহ্বাপ্রান্ত উপরের দাঁত স্পর্শ করে শ্বাসবায়ুকে বাধা দিয়ে যে ধ্বনি উচ্চারিত হয়, তাকে বলা হয় দন্তন্য ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন-ত,থ,দ,ধ।
দন্তমূলীয় ব্যঞ্জনধ্বনি: জিহ্বাশিখর দন্তমূল স্পর্শ করে শ্বাসবায়ু কে বাধা দিলে যে ধ্বনি উচ্চারিত হয়, তাকে বলে দন্তমূলীয়ব্যঞ্জন ধ্বনির। যেমন-র,ল,ন।
ওষ্ঠ ব্যঞ্জনধ্বনি: নিচের ওষ্ঠ (অধর) ও উপরে ওষ্ঠ স্পর্শ করে শ্বাসবায়ুর গতিপথে বাধা সৃষ্টি করে যে ধ্বনি উচ্চারিত হয় তাকে বলা হয় ওষ্ঠ ধ্বনি। যেমন-প,ফ,ব,ভ,ম।
কন্ঠনালীয় ব্যঞ্জনধ্বনি: স্বরতন্ত্রী দুটি পরস্পরের দিকে এগিয়ে এসে তাদের মধ্যবর্তী শ্বাসবায়ুর পথ সংকুচিত করে বা একেবারে বন্ধ করে দিয়ে যে ধনী সৃষ্টি হয়, তাকেই স্বরতন্ত্রীয় ব্যঞ্জনধ্বনি বা কণ্ঠনালীয় ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-হ।
(খ)উচ্চারণের প্রকৃতি অনুযায়ী ব্যঞ্জন ধ্বনির শ্রেণীবিভাগ: উচ্চারণের প্রকৃতি অনুসারে ব্যঞ্জনধ্বনির প্রধান শ্রেণীবিভাগ— প্রতিহত বা স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি, প্রবাহিত বা প্রবাহী ব্যঞ্জনধ্বনি, ঘোষ-অঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি, অল্পপ্রাণ-মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি।
প্রতিহত বা স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় মুখবিবরের শ্বাসবায়ু কিছুক্ষণের জন্য সম্পূর্ণ রুদ্ধ হয়ে যায়, তাকে বলা হয় প্রতিহত ব্যঞ্জনধ্বনি। আবার এই ধরনের সময় বাধা সৃষ্টিকারী বাগযন্ত্রের (জিভ,কন্ঠ,তালু,মূর্ধা,দন্ত,ওষ্ঠ)দুটি উপাদান কিছু সময়ের জন্য হলেও পরস্পরকে সম্পূর্ণ স্পর্শ করে বলে এদের স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-বাংলা ধ্বনিমালায় ক থেকে ম পর্যন্ত মোট পঁচিশটি ব্যঞ্জনধ্বনি আছে। এদেরকে বলা হয় স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি।
প্রতিহত বা প্রবাহী ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণের শ্বাসবায়ু বেরিয়ে যাবার সময় বাগযন্ত্রে পুরোপুরি বাধা পায় না কিন্তু একটা বাঁধার ভাব সৃষ্টি হয় এবং যার উচ্চারণ কিছুক্ষণ ধরে চলতে থাকে তাকে প্রতিহত বা প্রবাহিত ব্যঞ্জনধ্বনি বলে।
প্রতিহত বা প্রবাহী ব্যঞ্জনধ্বনিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়—১|নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি ২|মৌখিক ব্যঞ্জনধ্বনি।
১| নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি:যে ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ু একই সঙ্গে মুখবিবর এবং নাসাপথের মধ্যে দিয়ে বের হয়, তাকে বলে নাসিক্য ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন-ঙ,ঞ,ণ,ন,ম।
২| মৌখিক ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ করার সময় শ্বাসবায়ু কেবল মুখ দিয়েই বেরিয়ে আসে, তাকে মৌখিক ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-প্রতি বর্গের প্রথম চারটি ধ্বনি এবং র,ল,শ,স,হ,ড়,ঢ়,য়। এই মৌখিক প্রবাহিত ব্যঞ্জনধ্বনি গুলিকে আবার নানা ভাগে ভাগ করা যায়—
• কম্পিত ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জনের উচ্চারণে জিভের অগ্রভাগ ক্ষেপে গিয়ে দাঁতের গোড়া বা দন্তমূল স্পর্শ করে, তাকে বলে কম্পিত ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন- র ।
• তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি: শ্বাস বায়ুর গতিপথে জিভের সামনের দিকটা যদি তালুতে একবার মাত্র টোকা দিয়ে ছোঁয় এবং তাকে জোরে ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিতে চায়, তবে যে ধ্বনি সৃষ্টি হয়, তাকে তাড়িত ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-ড়,ঢ়।
• উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনি: স্বরতন্ত্রী দুটি পরস্পরের কাছাকাছি আসার ফলে যদি শ্বাসবায়ু যাতায়াতে আংশিক বাধার সৃষ্টি হয় এবং সেই বাধা ঠেলে যাতায়াত করার ফলে একটি ঘর্ষণ-ধ্বনির (শিস জাতীয়) সৃষ্টি হয় তবে সেইভাবে উচ্চারিত ধ্বনিকে বলে উষ্ম ধ্বনি। যেমন-শ,স,হ।
• নৈকট্য ব্যঞ্জনধ্বনি: শ্বাস বায়ুর গতিপথে বাধা যদি এত কম হয় যে কোন ঘর্ষনধ্বনি শোনা যায় না অথচ মনে হয় বাধার ভাবটি রয়েছে, তবে তাকে বলে নৈকট্য ব্যঞ্জনধ্বনি। যেমন-য়। (উষ্মা ব্যঞ্জনধ্বনি ও ঝরা ধোনির মাঝামাঝি এক ধরনের ধ্বনি তাই একে অন্তঃস্থ ব্যঞ্জন বলা হয়।)
• পার্শ্বিক ব্যঞ্জনধ্বনি: যদি জিভের সম্মুখপ্রান্ত দন্তমূলকে দৃঢ়ভাবে স্পর্শ করে এবং শ্বাসবায়ুকে জিভের দুপাশ দিয়ে বেরিয়ে আসে। সেই পার্শ্বগামী বায়ুতে সৃষ্ট ধ্বনিকে পার্শ্বিক ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-ল।
ঘোষ-অঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় আমরা সেই ধ্বনিটি সঙ্গে স্বরতন্ত্রীর কম্পনজাত সুর বা ঘোষ মিশিয়ে উচ্চারণ করি সেই ধ্বনিকে ঘোষ ধ্বনি বা ঘোষবৎ ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-বর্গের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বর্ণ এবং র,ল,হ,ড়,ঢ়,য়।
যে ব্যঞ্জন ধ্বনি উচ্চারণের সময় আমরা সেই ধ্বনিটির সঙ্গে স্বরতন্ত্রীর কম্পনজাত সুর দিই না তাকে অঘোষ ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-বর্গের প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ণ এবং শ,স।
অল্পপ্রাণ-মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি: যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় সেই শ্বাসবায়ু প্রাণ অপেক্ষাকৃত কম পরিমাণে নির্গত হয়, তাকে অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। যেমন-বাংলা বর্গীয় স্পর্শ ব্যঞ্জনের প্রথম ও তৃতীয় ধ্বনি হল অল্পপ্রাণ। র,ড়,শ।
যে ব্যঞ্জনধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাসবায়ু বা প্রান বেশি পরিমাণে নির্গত হয়, তাকে বলে মহাপ্রাণ ধ্বনি। যেমন-বর্গের দ্বিতীয় ও চতুর্থ ধ্বনি এবং ঢ়,য়,হ,ল,স।
এছাড়া অন্যান্য ব্যঞ্জনধ্বনি গুলি হল-তরল ধ্বনি ও ঘৃষ্ট ধ্বনি। তরল ধ্বনি হলো-র,ল। ঘৃষ্ট ধ্বনি হলো-স্পর্শ ধ্বনি ও উষ্মধ্বনি যৌগিক রূপ ।যদি কোন ধ্বনি উচ্চারণের সময় শ্বাস বায়ুর গতিপথে প্রথমে স্পর্শ ধ্বনির মতো পূর্ণ বাধার সৃষ্টি হয় এবং ক্ষণকাল পরেই সেই বাধা কমে উষ্ম ধ্বনির মত আংশিক বাধায় পরিণত হয় তবে সেই ধ্বনিকে ঘৃষ্ট ধ্বনি বলে। যেমন-চ,ছ,জ,ঝ।
ধ্বনি পরিবর্তনের কারণ 📎📌 Click
ধ্বনি পরিবর্তনের রীতি 📎📌 Click