বৃন্দাবনদাসের শ্রীচৈতন্যভাগবত

বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবত



রচনাকাল : ড. সুকুমার সেনের মতে ১৫৪১-৪২ খ্রীষ্টাব্দে 'চৈতন্যভাগবত' কাব্যটি রচিত।
'চৈতন্যভাগবত' বাংলায় রচিত প্রথম চৈতন্য জীবনী কাব্য।

চৈতন্যভক্ত শ্রীবাসের ভ্রাতুষ্কন্যা নারায়ণীর তিনি পুত্র—–এর চেয়ে বেশি কোনো পরিচয় তিনি দেননি, পিতারও নাম উল্লেখ করেননি। শ্রীচৈতন্যের আশীর্বাদে তাঁর জন্ম হয়েছিল এই ধরনের কাহিনী প্রচলিত আছে। কৃষ্ণদাস কবিরাজও শ্রীচৈতন্যচরিতামৃতে তাঁর পূর্বসূরী সম্বন্ধে শুধু বলেছেন, “বৃন্দাবনদাস নারায়ণীর নন্দন"। অনুমান হয় ১৫১৯ খ্রীস্টাব্দের কাছাকাছি সময়ে নারায়ণীর গর্ভে বৃন্দাবনদাসের জন্ম হয়। কবি অল্প বয়সে নিত্যানন্দের সান্নিধ্য লাভ করে তাঁর শিষ্য হয়েছিলেন। দেনুর গ্রামে তাঁর শেষজীবন অতিবাহিত হয়।
উক্ত জীবনকাব্য রচনার জন্য তিনি বৈষ্ণব সমাজে চৈতন্যলীলার ব্যাস’ বলে সম্মানিত হয়েছেন।

 বৃন্দাবন সর্বপ্রথম 'চৈতন্যমঙ্গল' নাম দিয়ে চৈতন্য-জীবনী-কাব্য লিখেছিলেন, কিন্তু মায়ের নির্দেশে তিনি নাম পাল্টে শ্রীচৈতন্য ভাগবত’ নাম রাখেন। কারণ প্রায় একই সময়ে করি লোচনদাস (ত্রিলোচন দাস) ‘চৈতন্যমঙ্গল' নামে আর একখানি কাব্য লিখেছিলেন।

বৃন্দাবনদাস তিন খণ্ডে চৈতন্যভাগবত জীবনী-কাব্যের পরিকল্পনা করেন—আদিখণ্ড (পনেরো অধ্যায়), মধ্যখণ্ড (ছাব্বিশ অধ্যায়), অন্ত্যখণ্ড (দশ অধ্যায়) মোট একান্ন অধ্যায়ে এই সুবৃহৎ জীবনী সমাপ্ত হয়। তবে চৈতন্যদেবের শেষ পর্যায়ের জীবন কথা অন্ত্যখণ্ডে বিস্তারিত আকারে বর্ণিত হয়নি

aa
বৃন্দাবন গুরু নিত্যানন্দের কাছে চৈতন্য-জীবনীর অধিকাংশ উপাদান সংগ্রহ করেছিলেন।
তিনি মুরারিগুপ্তের সংস্কৃতকার্য কড়চা'র ('শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতম্) দ্বারা বিশেষভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন।
নবীনতর পূর্বতন