সমাস
সমাস অর্থ ‘সংক্ষেপণ’ বা ‘মিলন’। অর্থের দিক থেকে পরস্পর সম্বন্ধযুক্ত দুই বা ততোধিক পদ মিলিত হয়ে যখন এক পদে রূপান্তরিত হয় তখন তাকে সমাস বলে।
ব্যাকরণের পরিভাষায় সমাস শব্দটির অর্থ ‘একাধিকপদের একপদীকরণ’।
· সমস্তপদ
বা সমাসবদ্ধপদ : যে পদগুলো মিলিত হয়ে একটি নতুন পদ গঠিত হয়,তাকে
সমাসবদ্ধ পদ বলে।
যেমন- বীণা পানিতে যাঁর = বীণাপাণি (এখানে
‘বীণাপাণি’ সমস্তপদ বা সমাসবদ্ধ পদ)
· সমস্যমান
পদ
: যে পদ গুলি সাহায্যে সমাসবদ্ধ পদ বা সমাস করা হয়, তাদের প্রত্যেকটিকে সমস্যমান পদ
বলে।
যেমন- বীণা পানিতে যাঁর– এখানে বীণা,পাণিতে,যাঁর এই পথ গুলির প্রত্যেকটিই
সমস্যমান পদ।
· ব্যাসবাক্য
বা বিগ্রহবাক্য বা সমাসবাক্য : সমাসের অর্থ বিশ্লেষণ
করতে বা সমস্তপদটিকে ভেঙে দেখাবার জন্য যে বাক্য বা বাক্যাংশ ব্যবহার করা হয়,
তাকে ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য বা সমাসবাক্য বলে। যেমন- বীণা পাণিতে যাঁর এই
অংশটির বীণাপাণি সমাসটির ব্যাসবাক্য বা বিগ্রহবাক্য।
· পূর্বপদ
ও পরপদ
(উত্তরপদ) : সমস্যমান পদ গুলির মধ্য যে পদটি
পূর্বে বসে বা প্রথমে বসে সেটি পূর্বপদ এবং যে পদটি পরে বসে তাকে পরপদ বা উত্তরপদ
বলে ।যেমন-
বীণা পানিতে যাঁর এখানে ‘বীণা’ পূর্বপদ
এবং ‘পাণি’ পরপদ।
সমাস ছয় প্রকার- দ্বন্দ্ব সমাস, কর্মধারয় সমাস, দ্বিগু সমাস, বহুব্রীহি সমাস, তৎপুরুষ সমাস, অব্যয়ীভাব সমাস।
এছাড়া আছে নিত্য সমাস,
বাক্যাশ্রয়ী সমাস, অলোপ সমাস।