ভর, ওজন এবং ভর ও ওজনের পার্থক্য
ভর: যেকোনো বস্তুর মধ্যে মোট যে পরিমাণ জোড় পদার্থ থাকে, সেই পরিমাণ জড় পদার্থকে ঐ বস্তুর ভর বলে। সাধারণ তুলা যন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ভর মাপা হয়।
ভার বা ওজন: কোন বস্তুকে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহ ও উপগ্রহ যে পরিমাণ বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, সেই পরিমাণ বলকে ভার বা ওজন বলে। স্প্রিং তুলার সাহায্যে বস্তুর ভার বা ওজন মাপা হয়।
ভর এবং ওজনের মধ্যে সম্পর্ক
যেকোনো নির্দিষ্ট জায়গায় বস্তুর ভার বা ওজন ওই বস্তুর ভরের সমানুপাতিক, অর্থাৎ বস্তুর ভর বাড়লে ভার বা ওজন বাড়বে এবং ভর কমলে ওজন কমবে। আবার ভর স্থির থাকলে কিন্তু অভিকর্ষজ ত্বরণের মান বাড়লে ওজন বাড়ে এবং অভিকর্ষজ ত্বরণের মান কমলে ওজন কমে।
বস্তুর ওজন (W) = বস্তুর ভর (m) × অভিকর্ষজ ত্বরণ (g)
ভর ও ওজনের পার্থক্য
ভর | ভার বা ওজন |
---|---|
(১) কোনো বস্তুর মধ্যে যে পরিমাণ জড় পদার্থ থাকে, তাকে ঐ বস্তুর ভর বলে। | (১) কোন বস্তুকে পৃথিবী যে বল দ্বারা তার কেন্দ্রের দিকে আকর্ষণ করে, তাকে ঐ বস্তুর ওজন বা ভার বলে। |
(২) বিভিন্ন স্থানে বস্তুর ভর অপরিবর্তিত থাকে। | (২) বিভিন্ন স্থানে বস্তুর ওজন বিভিন্ন হয়। |
(৩) সাধারণ তুলাযন্ত্রের সাহায্যে বস্তুর ভর মাপা হয়। | (৩) স্প্রিং তুলার সাহায্যে বস্তুর ওজন মাপা হয়। |
(৪) ভর অপরিবর্তনীয় বলে এটি বস্তুর স্বকীয় ধর্ম। | (৪) ওজন পরিবর্তনশীল বলে এটি বস্তুর স্বকীয় ধর্ম নয়। |
(৫) ভরের শুধুমাত্র মান আছে, অভিমুখ নেই। তাই ভর একটি স্কেলার রাশি। | (৫) ওজনের মান এবং অভিমুখ দুই-ই আছে। তাই ওজন ভেক্টর রাশি। |
(৬) কোনো বস্তুর ভরের মান কখনও শূন্য হয় না। | (৬) বস্তুর ওজনের মান শূন্য হতে পারে (যেমন, পৃথিবীর কেন্দ্রে বস্তুর ওজন শূন্য হয়)। |